টাঙ্গাইলের সম্ভাবনাময় পণ্যঃজাম আলু

জাম আলু
আগে আমরা পরতাম ভাতে মাছে বাংগালী কিন্তু আজকের যুগে এসে আমরা হয়ে গেছি ভর্তা ডালে বাংগালী।
আলু ভর্তা আর ডাল হলে আর কি লাগে বলেন,আমার তো আর কিছু দরকারই নেই।
যাই হোক নতুন জাতের এই আমেরিকান জাতের এই আলু যে খেয়েছে সত্যি সেই এর প্রেমে পড়ে গিয়েছে বিশেষ করে এই আলু ভর্তা অন্য আলুর চেয়ে অনেক বেশি স্বাদের।
অন্যান্য এলাকায় বেশ আগে থেকে এই আলু পাওয়া গেলেও আমাদের টাংগাইলে বেশ ক বছর ধরে দেখা মিলছে, পরিক্ষামুলক ভাবে চাষ করে জানা যায় এই আলুর ফলন ও অন্য আলুর চেয়ে অনেক বেশি হয়ে থাকে,শতাংশে প্রায় দুইমন করেও নাকি আলু তারা উঠিয়েছেন,বাজারেও এর চাহিদা অন্য আলুর চেয়ে অনেক বেশি।
দেখতে জামের মতই আকারে একটু লম্বা, এটি সিদ্ধ করলে ভেতরে লাল হয়ে যায়,যেমন টা জামের ভিতরে হয়,হয়ত এই কারনেই এই আলুকে জাম আলু কয়
তবে জাম খেলে দাতের রঙ বদলালেও এই আলু খেলে কিন্তু বদলায় না।
যারা খাননি এই জাম আলু তাদের প্রতি রিকোয়েস্ট থাকবে একবার খেয়ে দেখবেন।একদম ভরতা ভাতের বাংগালী হয়ে যাবেন।
যেহেতু এই আলুর ফলন ভালো,এর উপকারিতাও অন্য আলুর চেয়ে বেশি,বাজারে এর চাহিদা ও মুল্য অন্য আলুর চেয়ে বেশি তাই এটা হতে পারে আপনার উদ্যোগের একটি পণ্য,যা বেচে হয়ে যেতে পারেন আপনি ধন্য,অপর দিকে কাস্টমারও খুশি পেয়ে খাটি পণ্য।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় যে এই আলুর উৎপাদনের উপর একটা প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের এসব নতুন নতুন ফলস উৎপাদনে আগ্রহি করার চেষ্টা চলছে অনবরত।
সত্যি আমাদের টাংগাইলে এত এত সোনার খনি আছে যে আমরা যদি এগুলো ই কমার্সে নিয়ে আসতে পারি তবে সত্যি ভাল কিছুই সম্ভব।।
হাসান সরকার ছালেহীন।
আওয়ার টাংগাইল ডট কম।