অনলাইন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণার নাম মুসাফির জসীম

প্রকৃতির রাণী খাগড়াছড়ি জেলার সন্তান আমি মুসাফির জসীম নাম আমার বাবা একজন কৃষক নাম আব্দুর রশিদ আমার বয়স 23 পরিবারের 2য় সন্তান, আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ।

জন্মস্থান, জেলা খাগড়াছড়ি দিঘীনালা উপজেলার 1নং মেরুং ইউনিয়ন 4 নং ওয়ার্ডে বাঁচা মেরুং এলাকায় ।

আমার জন্ম পড়াশুনা, 7ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে আর পড়াশোনা শেষ করতে পারিনি বর্তমান অবস্থান: এখন পড়াশোনা অফ, চলাফেরা ও কষ্ট আমার ব্যবসার শুরু টা এতোটা কঠিন ও ছিল না অনেক টা সহজেই ছিল। আমি তো অসুস্থতার জন্য সারাদিন বসে ই থাকতাম তাই এক আপুর অনুপ্রেরণায় ব্যবসাটা শুরু করছিলাম সেই থেকেই শুরু।

আমি সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে কিছু করার প্রচেষ্টা থেকে ই শুরু করছিলাম শাড়ি, খাদি পাঞ্জাবি, থ্রি পিস, উলের শাল, খাঁটি ঘি,ড্রাই ফ্রুটস, লোগো ডিজাইন নিয়ে মূলত আমার কাজ দেশীয় পণ্য র প্রতি বুকে ভালোবাসা ধারন করে এগিয়ে যেতে চাই আমার কাজ নিয়ে। যখন আমি ঘরে বসে বসে হাঁফিয়ে উঠি, কিছু করতাম না খুব ই খারাপ লাগতো, নিজের খরচের জন্য ও বাবার কাছে হাত পাততে হতো ।

১৮ ই অক্টোবর ২০২০ যখন এক ভাই women and e-commerce forum (we) জয়েন করে দেয় তখন উইতে জয়েন হয়ে দেখি দেশীয় পণ্য র জয়জয়কার ধ্বনি। দেশের টাকা দেশে ই রাখছে দেশীয় পণ্য র উদ্দোক্তারা দেশীয় পণ্য র ভালোবাসা থেকেই আমি দেশীয় পোশাক নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই আমার ব্যবসার শুরুটা অনলাইন ছিল কেন্দ্রিক ই আগামী তে অফলাইনে ও বড় করার চিন্তা আছে ইনশাআল্লাহ কাজ করতে গিয়ে আমি কখনো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি বরং সবার থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি সবাই আমাকে সাহস যুগিয়েছে।

আমি প্রতিবন্ধকতা জয় করে কিছু করার চেষ্টা করছি দেখে সবাই আমাকে নিজেদের অনুপ্রেরণা ভাবে নতুন উদ্যোক্তা যারা এই পেশায় আসতে চায় একজন উদ্দোক্তা হতে চায় তাদের প্রতি আমার এই পরামর্শই থাকবে যদি আপনি কিছু করতে চান তাহলে মন থেকে নিজের ভালোলাগা ভালোবাসা থেকে কাজ করবেন। আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান সেই পন্যে আগে পড়াশোনা করবেন পণ্য সম্পর্কে নিজে জানুন এবং অন্যকে জানানোর চেষ্টা করবেন

এরজন্য পড়াশোনা র বিকল্প নাই। আর এই আত্মবিশ্বাস রাখবেন এই কাজে আমি সফলতা অর্জন করব ই উদ্যোক্তা জীবনে সফল হতে মা বাবার দোয়া কিছু মানুষের অনুপ্রেরণায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল, যারা আমাকে নিজেদের অনুপ্রেরণা মনে করে ব্যবসায় টাই আমার রুটিরুজি তাই ব্যবসা নিয়ে আমার ভবিষ্যৎ ভাবনা পরিকল্পনা অনেক বড়।

আমার একটা পরিকল্পনা অনলাইন থেকে অফলাইনে আমার ব্যবসাটাকে নিতে চাই একটা শোরুম করতে চাই ভবিষ্যতে । উদ্যোক্তা জীবনের শুরু আমার এক বছর হতে চলল এই এক বছরে আমি প্রায়ই ৯০/১০০ টা কাস্টমার পেয়েছি, রিভিউ পেয়েছি ২০টার মতন। মোট বিক্রি প্রায় ১০০০০০ নামঃ Musafir Jasim উদ্যোগের নামঃ Musafir shop মোবাইল নাম্বারঃ 01886296868 ইমেইল এড্রেসঃ ju701434@gmail.com

ফেসবুক আইডি লিংকঃ

https://www.facebook.com/profile.php?id=100014151585047

পেইজের লিংকঃ

https://www.facebook.com/Musafir-shop-103353504933595

আওয়ার টাঙ্গাইল ডটকম
ফাউন্ডার হাসান সরকার ছালেহীন

https://www.facebook.com/Hasansalehinbd

টাঙ্গাইলের অসাধারন হ্যান্ডপেইন্ট উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান

আমার নাম নুসরাত জাহান। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আমি পরিবারের ২য় সন্তান। আমার একজন বড় বোন ও একজন ছোট বোন আছে। আমার বাবা সেনাসদস্য (অবসবরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট) ছিলেন। তিনি মারা গেছেন ২বছর আগে। আমার মা গৃহিনী। আমার জন্ম টাংগাইল জেলায় এবং জন্মের পর থেকেই আমি টাংগাইলেই বড় হয়েছি।

আমার ব্যবসার শুরুটা কি সহজ ছিল? হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ সহজই ছিল শুরুর দিকটা। আমার ক্ষেত্রে এমন হয়নি যে টাকার অভাবে, বা কোনো প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবসা করছি বা বাধ্য হয়েছি ব্যবসা করতে হচ্ছে,পরিবারের অভাব আছে তাই করতে হবে এমন কোনো বিষয় না, আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু আমি চাইতাম নিজে থেকে কিছু করতে যাতে নিজের চাহিদা টুকু নিজে কিছু হলেও পূরণ করতে পারি৷ চাহিদার সব কিছুর জন্যই মা-বাবার উপর নির্ভর থাকতে না হয়।

আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি আমার বেশিরভাগ চাহিদা নিজেই পূরণ করতে পারি।আমি ব্যবসা শুরু করেছি মূলত নিজের সময় কাটানোর জন্য এবং নিযেকে ব্যস্ত রাখার জন্য। করোনার কারণে যখন হঠাতই স্কুল কলেজ বন্ধ, ধরতে গেলে সারা বাংলাদেশই বন্ধ তখন ঘরে বসে বসে যেন সময় কাটছিল না। তাই চাচ্ছিলাম যেহেতু এখন পড়াশোনাও বেশি নেই, তাই পড়াশোনার পাশাপাশি সময়টাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। সেক্ষেত্রে যেহেতু সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত আছি, সবাইকে দেখছি অনলাইনের মাধ্যমেও কিছু না কিছু করা যায় তখন আমি ভাবলাম আমিও কিছু একটা শুরু করি। এইক্ষেত্রে হ্যান্ড পেইন্ট কাজটা আমার খুবই ভালো লাগত, আর আকাঁআঁকি আমিও পছন্দ করি তাই হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ করার উদ্যোগ নিলাম।

এইক্ষেত্রে আমি রং তৈরি করার প্রাথমিক নিয়মগুলো আগে থেকেই জানতাম আর বাকি যেসব জিনিস প্রয়োজন সেগুলো ইউটিউব দেখে শিখে কাজ শুরু করেছি৷ আর আমার এই কাজের প্রথম মূলধন ছিল ৬০০০ টাকা। যা আমার ছোটবোনের ব্যাংকে জমানো টাকা ছিল। আমি হ্যান্ড পেইন্ট এর শাড়ি, পাঞ্জাবি, কাপল সেট, ফ্যামিলি সেট, থ্রিপিস এইসব নিয়ে কাজ করি।

আমি যখন ভেবেছিলাম যে কিছু একটা করি, তখনই ঠিক করেছিলাম এমন একটা জিনিস দিয়ে শুরু করব যাতে আমার প্রতিভা টুকু সবার মাঝে প্রকাশ পায়। রেডিমেইড জিনিস নিয়ে তো মানুষ কাজ করেই, যা নিজে তৈরি করে না। তাই আমি নিজের প্রতিভা প্রকাশের জন্য এই কাজটি বেছে নিয়েছি৷ সবার থেকে ভিন্ন কিছু নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। এখন অনেকে হয়তো হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ করে,অনেকের কাজ আমার কাজের চেয়ে অনেক ভালো, তারা পারদর্শী,দক্ষ কিন্তু আমি যতটুক পারি তার সর্বোচ্চ দিতে চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমার এই কাজ নিয়েই অনেকের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছি। অনেকের মাঝে বিলিয়ে দিতে পেরেছি এবং অনেকে আমার কাজকে অনেক পছন্দও করে। আমার ব্যাবসার শুরুটা অনলাইনেই শুরু।

এর পর ধীরে ধীরে অফলাইনেও মানে আমার প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয় স্বজন রাও আমার করা জিনিসের প্রতি আগ্রহী হয়ে তারা আমার ক্রেতা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি গত ৯-১০ মাস যাবত কাজ করছি।কাজ করতে গিয়ে কখনো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি বললেই চলে আলহামদুলিল্লাহ। অর্ডার ক্যান্সেল,পণ্য ফেরত, দোষ ত্রুটি,পেমেন্ট এসব পরিস্থিতির মুখোমুখি এখন পর্যন্ত হইনি। নতুন উদ্যোক্তারা এই পেশায় আসতে চাইলে, তাদের জন্য আমার পরামর্শ কি থাকবে-অবশ্যই তারা এই পেশায় আসতে পারে, ঘরে বসেই নিজের সুপ্ত প্রতিভা অন্যের মাঝে প্রকাশ করার আনন্দই আলাদা। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটাইবেশি সুবিধা মনে করে৷ আর তারা চায় ইউনিক কিছু যা সবার নজর কাড়ে এমন জিনিস।

তাই যারা নতুন এই পেশা নিতে চান তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন সবার থেকে ইউনিক কিছু চেষ্টা করার যাতে সবার নজর কাড়ে এবং তাতে আপনার সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশ পায়। ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারলেই সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। অনেকে ধৈর্য হারা হয়ে যায় যে সবাই তো বললো অনেক বেচাকেনা হয় এখন তো হচ্ছে না তাহলে বাদ দিয়ে দেই বা অন্য কিছু নিয়ে চেষ্টা করি তখন তারা একাধিক পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করে তারপর আর কোনোটায় সামলে উঠতে পারে না। তাই প্রথমেই লাভের আশা না করে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে, পরিচিতি বাড়াতে হবে এবং নিজের কাজের কোয়ালিটি প্রতিনিয়ত সুন্দর করার চেষ্টা করতে হবে যাতে সবার নজর আকর্ষন করে। উদ্যোক্তা জিবনে সফল হতে যাদের ভূমিকা বেশি ছিল- আমার উদ্যোক্তা জীবনে আমার মা, বোন পরিবারের সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা আমাকে জোড় করেছে কিছু একটা করার জন্য তা না।

আমি যখন চিন্তা করলাম এইধরনের কিছু আমি শুরু করতে চাচ্ছি তখন তারা আমাকে বাধা দেয়নি, কাজে সাহায্য সহযোগিতা করেছে৷আমার বড় আপু এখন আমার অনেক কাজ করে দিয়েছে, অনলাইনে প্রচারের ক্ষেত্রে, অনেকের মাঝে জানানোর ক্ষেত্রে সে আমাকে সাহায্য করেছে।। এখন এই ব্যবসা আমি আর আমার আপু ২জন মিলেই করি। এছাড়াও আমার মা, ছোট বোন কখনো এর বিপক্ষে ছিল না,পড়াশোনার পাশাপাশি যদি আমি নিজে কিছু একটা করি তাতে তারা বাধা দেয় নি তারা আমার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট আলহামদুলিল্লাহ । বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনার ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও দূর আগাতে চাই আমার পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা চালিয়ে যেতে চাই৷ একজন সফল উদ্যোক্তা, একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চাই।

আমি বিশ্বাস করি প্রবল ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য আর সততার সাথে কোনো কাজ করলে সেই কাজে সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। আমার উদ্যোগের সফলতা-আলহামদুলিল্লাহ গত ৯-১০ মাস যাবত আমি এই উদ্যোগ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে ভালো সাড়া পেয়েছি। এখন পর্যন্ত আমি দেশের ৭-৮ টি জেলায় আমার পণ্য পাঠিয়েছি। এমনি কোনো কোনো জেলায় একাধিক বার, ৪-৫ বারও আমার পণ্য পাঠিয়েছি। আর যেহেতু আমার হোম ডিস্ট্রিক্ট টাংগাইল তাই টাংগাইলের বিভিন্ন জায়গায় আমার পণ্য দিয়েছি। আমার বেশ কিছু রিপিট কাস্টমার আছে যারা একাধিক বার আমার কাছ থেকে পণ্য নিয়েছেন এবং তারা আমার পণ্য নিয়ে সন্তুষ্ট আলহামদুলিল্লাহ। আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু ৯-১০ মাস। আর যেখানে আমি ৬০০০টাকা নিয়ে শুরু করেছিলাম সেখানে আজ আমি ৭৫-৮০ হাজার টাকায় পৌছেছি। সবার দোয়া এং ভালোবাসায় খুব দ্রুতই লাখপতিদের খাতায় লাম লিখাবো ইনশাআল্লাহ ।

পেইজ লিংকঃ

https://www.facebook.com/nusratnusu29

ফেইসবুক আইডি লিংকঃ

https://www.facebook.com/profile.php?id=100042841132808

হাসান সরকার ছালেহীন

ফাউন্ডার আওয়ার টাঙ্গাইলডটকম