টাংগাইল এর সম্ভাবনাময় পণ্যঃ কফি

 আপনি জানেন কি কফি এখন টাংগাইলেও উৎপাদিত হচ্ছে? 😍
কফির নাম এলেই মনের মধ্যে গুন গুন করে বেজে সেই গান,কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই😍ব্যাক্তিগত ভাবে আমি চায়ের চেয়ে কফি বেশি পছন্দ করি।
এক সনয় ছিল যখন চা কফি শুধু বিশেষ কোন জায়গায় ব্যবহৃত হতো,যেমন অফিস,মিটিং, রেস্টুরেন্টে আড্ডা,বা কোন অনুষ্ঠান। 
আজকাল চা কফি ছাড়া যেন আমাদের জীবনই পানছে,ঘুম থেকে উঠে চা কফি না খেলে তো আজকাল অনেকের ঘুমই ছাড়েনা,আবার অনেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও এই চা কফি খেতে হয়।

এক গবেষণার প্রমান মিলে,বিশ্বের ২য় পানিয় হলো কফি,এটির ব্যাবহার অন্যান্য দেশে অনেক আগে থেকেই ছিল বাংলাদেশেও এখন এর চাহিদা প্রচুর পরিমানে।    
     আমাদের দেশে এর প্রচলন খুব বেশিদিন হবে না। তারপরেও এতোটা জনপ্রিয় হয়েছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে তা চিন্তার বাইরে। মূলত ইউরোপ,আমেরিকার দেশগুলোতে রয়েছে এর বেশ প্রচলন। তবে জানা যায় নবম শতকে ইথিওপিয়াতেই এর সূত্রপাত ঘটে। ফালদি নামক এক ছাগল পালকের মাধ্যমে। তিনি একসময় দেখেন যে তার ছাগলগুলো বেরিজাতীয় একপ্রকার গাছের ফল খেয়ে অদ্ভুত আচরণ করে এবং সারা রাত না ঘুমানোর একটি ইতিহাস গড়ে। এরপর ছাগল পালক এই বীজ নিয়ে একজন মুসল্লির কাছে যায় তিনি এটি পুড়িয়ে দেখেন যে এর গন্ধ আরো মাতোয়ারা করে দেয়। একসময় বীজগুলো গরমপানিতে সিদ্ধ করার ফলে দেখেন যে এটির যেমন সুঘ্রান তেমনি খেলেও শান্তি শান্তি একটি ভাব চলে আসে। সেই থেকে শুরু এর প্রচলন,আবিষ্কার হয় জনপ্রিয় পানিয় কফির।
    আঠারো উনিশ শতকের দিকে সবচেয়ে বেশি এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে কয়েকটি দেশে।এটি আমাদের দেশে এসেছে এটি প্বার্শবর্তী দেশ ভারত থেকে।


     পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানের কেউ একজন ভারত থেকে চারা নিয়ে এসে এখানে চাষাবাস শুরু করেন। প্রথম দিকে তেমন ফলন ভালো না হলেও পরবর্তীতে বেশ সাড়া ফেলে। আর এখান থেকেই এখন পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন পর্যন্ত বেশ ভালো ফলন হচ্ছে। কারণ এখানকার আবহাওয়া, মাটি ও জলবায়ু কফি চাষের জন্য দারুণ উপযোগী। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও নীলফামারিতেও এর ভালো ফলন দেখা গিয়েছে। 


     সিলেটের এক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সানোয়ার হোসেন নামের এক ব্যাক্তি যিনি প্রচুর চা/ কফি খাওয়া পছন্দ করতেন,যেহতু তিনি কফি খেতে বেশ পছন্দ করতেন তা,থেকে আগ্রহী হোন এই কফির প্রতি। তিনি সেখানকার কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০০ টি চারা কিনে নিয়ে আসেন তার নিজ এলাকায় টাংগাইলের মধুপুরে। শুরু করে দেন তার বাবার জমিতে এই চারাগুলো লাগানো। চারা লাগানোর প্রায় তিন বছরের মাথায় তিনি ভালো ফলন পান। এটা দেখে উৎসাহিত হয়ে তিনি আরও একটি জমিতে এই কফির  চারা লাগান এবং এখানেও তার প্রায় অনেক চারা আছে। যেখানে নিয়মিত পরিচর্যা করছেন। তবে প্রথম বছরেই প্রায় (৭০-৮০) কেজি কফি উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। 


     কফি চাষ তো হলো ঠিকই কিন্তুু প্রসেসিং এ যত ঝামেলা। আর তাইতো তিনি স্থানীয় কৃষি বিভাগে সহায়তা চান। প্রথম দিকে তিনি যাঁতা কলেই ভাঙ্গিয়ে কফি বাজারে বিক্রি করেন। পরে অবশ্য স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে এগিয়ে এসে তাকে সহায়তা করেন এবং তার কফি চাষের প্রতি আগ্রহ দেখে আরো উৎসাহিত করেন। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেন টাংগাইলের মধুপুর ও সখিপুরের মাটি কফি ও কাজু বাদাম চাষে বেশ উপযোগী। আগ্রহীরে এদিকে এগিয়ে আসলে তাদের চাষের জন্যে জমি, চারা ও প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। যাতে করে এদিকটা এগিয়ে যেতে পারে অনেকটাই।


      কারণ আমাদের দেশে কফির এতো চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়। প্রায় ৯৫% কফিই আমদানি নির্ভর।  দেশে উৎপাদিত হয় তার বেশিরভাগই উৎপাদন হচ্ছে পার্বত্য জেলাগুলোতে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আমাদের দেশের  আমদানিকৃত কফির পরিমাণ ৩২.৫৬৭ টন। এবং উৎপাদিত হয়েছে এদেশে মাত্র ৫৫ হাজার কেজি।
      বোঝাই যাচ্ছে কৃষি অর্থনীতিতে কতটা সম্ভাবনাময় এটি। এদিক থেকে এখানে কাজ করলে আমাদের দেশের বেকার সমস্যা অনেকটাই নির্মুল হবে। 


   যাই হোক,কফির রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রজাতি। এর মধ্যে বেশি চাষ হয় আফ্রিকাজাত কফিয়া বা রোবাস্তা কফি। এবং আর একটি জাত হলো কফি এরাবিকা। তবে রোবাস্তার ফলন বেশি হলেও স্বাদ হয় এরাবিকা। তাই চাহিদাও অনেকটা বেশি। আমাদের দেশে দুটি জাতই উৎপাদিত হচ্ছে। 
    কফি চাষের জন্য পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে পানি জমবে না এমনকি সেচেরও দরকার হবে না এমন জমিই উপযোগী।  তবে মাটি ঝুরঝুরে রাখতে হবে, কিছুটা ছায়া এবং কিছুটা রৌদ্রজ্বল পরিবেশও দরকার। এছাড়া মাটি হতে হবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ। তবে কিছুটা রোগবালাই দেখা দিতে পারে। কিন্তুু তা খুব বেশি নয়। আর এজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে। তারা কফি চাষের বিষয়েই একটি প্রজেক্ট গ্রহণ করেছেন যেখানে চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে, রোপন, মাটি প্রস্তুুত,জমি দেয়া, চারা দিয়ে ও প্রশিক্ষণ দিয়েও সহায়তা করছেন এমন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরণের উদ্যোক্তাদের। তাছাড়া আমাদের দেশে অনেক হার্টিকালচার রয়েছে যেখানে চারা উৎপাদন করতে পারে। এখানেও আগ্রহীদের সহায়তা দিতে উৎসাহিত করেছেন। কফির চারা উৎপাদন করতে ৬ মাস সময় লাগে।


     কফি গাছ জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসে ফুল আসে এবং নভেম্বর- ডিসেম্বর মাসেই ফল সংগ্রহ করা যায়। বিঘাপ্রতি ৪০০-৫০০ টি চারা লাগানো যায় এবং কেজিপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা করে বিক্রি হয়। কফি গাছ প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। যদিও তিন বছর পর থেকে ভালো ফলন হয় কিন্তুু ৬-৭ বছরে পরিপক্কতা আসে। তবে মজার কথা হচ্ছে কফির বাগানে পাশাপাশি অন্যজাতের ফলও করা যায়। যা থেকেও অনেক আয় হয়। মধুপুরের মহিষমারা গ্রামের সানোয়ার হোসেনও তাই করছেন এবং তাকে দেখে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এদিকে অনেকেই এগিয়ে আসছেন।


    কফির রয়েছে নানা গুণ। তবে মাত্রাতিরক্ত সেবনে হতে পারে বিপত্তি। তাই এদিকে নজর রেখে তা সেবন করতে হবে।
     ক্যাফেইনযুক্ত কফি সেবনে খেলাধুলায় প্রাণ পাওয়া যায়। যদিও হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ায় তবুও কাজে উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়। তাই যেকোন খেলার আগে কফি পান করলে শরীরে আলাদা শক্তি পাওয়া যায়।
    কফি টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এমনকি মানসিক চাপের সময় ২০০ মি.গ্রা ক্যাফেইন শরীরে প্রবেশে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। 


    এতো এতো চাহিদাসম্পন্ন একটি অর্থকরী ফসল এবং আমাদের দেশের আবহাওয়া যেখানে এতোটাই উপযোগী। আর এদিকে তো সহায়তা রয়েছেই বিভিন্ন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তাহলে এদিকটাই আগ্রহীরা এগিয়ে আসলে একদিকে যেমন নিজেদের চাহিদা মেটানো যাবে তেমনি রপ্তানি করে বৈদশিক  আয়ও হবে। আর সেজন্য তো রয়েছেই ই- কমার্স সেক্টর। তাই যত উৎপাদনের খাত হবে ততই সম্ভাবনা বাড়বে বলে আশা করছি ই- কমার্স সেক্টরের মাধ্যমে। 
  যারা কফি চাষ করতে চান তাদের জন্য পরামর্শ হলো,নিকতস্থ কৃষি সম্প্রসারন অফিসে যোগাযোগ করুন।।


হাসান সরকার ছালেহীন 

টাংগাইল এর সম্ভাবনাময় পণ্যঃ মধু

মধু নাম শুনলেই ছোট বেলার এই কবিতার লাইন গুলো মাথায় আসবেই 😍
মৌমাছি মৌমাছি  কোথা যাও নাচি নাচিদাঁড়াও না একবার ভাইঐ ফুল ফোঁটে বনে,  যাই মধু আহরনেদাঁড়াবার সময় তো নাই

মৌমাছি  মধু আহরণ করে ফুল থেকে, সেই মধু চাক থেকে সংগ্রহ করে মৌয়ালরা সেগুলো পরিস্কার করে  আমরা খাই। মৌমাছি যেমন অনেক ফুল থেকে মধু আহরণ করে থাকে।
আমাদের একটা ভুল ধারনা আছে তা হলো অনেকেই ভাবি যে ফুল মানেই বাগানের গোলাপ গাধা,শিওলি অমুক তুমুক ফুল,এসব ফুল যখন না থাকে তখনো কিন্তু মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে,কিভাবে? আমাদের আশেপাশের প্রায় সব গাছেরই ফুল হয়ে থাকে তো মাছিরা সেসব ফুল থেকেও মধু সংগ্রহ করে থাকে।


মৌমাছির অনেক প্রকার জাত রয়েছে,আমরা সাধারণত দুই জাতের মাছি বেশি দেখে থাকি,একটা হলো বুনোমৌমাছি আরেকটা বুনো হলেও তাদের বস করে পালন করা যায়।একটা একটু বড় আকারের হয় অন্যটা ছোট আকারের,একটা গাছের ডালে বাসা করে আরেকটা, মাটির গর্ত,মাচার নিচে, অথবা বাড়ির আনাচে কানাচে যেখানে মানুষের চলাচল একটু কম।

আকারে ছোট মাছি গুলো বাক্সে ভরে পালন করা যায়,আর এই বাক্স গুলোকে যখন সরিষা ক্ষেতের ভিতরে রাখা হয়, সে মাছি গুলো শুধু সরিষা ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করে তখন তার নাম হয়ে যায় সরিষা ফুলের মধু।
আবার একই মাছিকে যদি সূর্য্যমুখির বাগানে নিয়ে যাওয়া হয় তারা শুধু সূর্য্যমুখির মধু সংগ্রহ করবে তখন তার নাম সূর্য্যমুখি ফুলের মধু।

এভাবে এই মাছিগুলোকে যখন যে বাগানে নিয়ে যাওয়া হয় তখন সেইসব ফুলের মধু কালেক্ট করে দেয়।

অন্য দিকে বড় মাছি গুলো আপনি চাইলে তাড়িয়ে দিতে পারবেন কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও কোথাও বসাতে পারবেন না এটা সম্পুর্ণ তাদের ইচ্ছেতে।ছোট মাছি গুলোর রানি কে সরিয়ে নিলে তারা আপনার পিছু পিছু আসবে কিন্তু এই বড় মাছি গুলো তাও আসেনা।
এজন্যই প্রাকৃতিক চাকের মধু খুবই কম পাওয়া যায়,তবে আমাদের টাংগাইলে এসব চাক প্রচুর পরিমানে আছে,তারপরো আমরা প্রাকৃতিক মধু পাইনা কারন কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী আসল নকল মিক্স করে চড়া দামে মুনাফা অর্জন করে থাকে।

আমি নিজেও এসব সম্পর্কে তেমন জানতাম না যদি না নিজে এসবের পিছনে ঘুরতাম,আমার উদ্যোগে প্রাকৃতিক মধু সেল করি তাই অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে।

এক মৌয়ালের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি স্বিকার করে বলেন ভাইজান আমরা ন্যায্য দাম না পাইয়া এসব ভেজাল করি,সবাই চায় ভালো পন্য কিন্তু দাম দিতে চায় কম আমাদের কি দোষ কইন?.
আমি কোন উত্তর দিতে পারিনি,আপনার কাছে কোন উত্তর আছে?  পরে আমি সেই মৌয়াল কে আমার নাম্বার দিয়ে দিয়েছি যখনি কোন চাক পায় আমাকে কল দেয় আমি দাড়িয়ে থেকে চড়া দামে তার থেকে মধু সংগ্রহ করি।

চড়া দাম মানেই যে সেরা তাও কিন্তু নয়,তাই চড়া দাম যেমন দিব তেমনি চড়া মানের মধুটাও নিশ্চিত হয়েই নিব।।
যাই হোক কাজের কথা হলো যেহেতু আমাদের টাংগাইলে প্রচুর প্রাকৃতিক চাক,এবং প্রচুর সরিষা ও অন্যান্য ফুলের চাষ হয়,তাই এখানে আমরা চাইলে প্রাকৃতিক অথবা চাষের মধু নিয়ে কিন্তু নিজেদের উদ্যোগ শুরু করতে পারি,বাজারে কিন্তু যথেষ্ট মধুর চাহিদা রয়েছে জাস্ট প্রমান করতে হবে আপনার টা সেরা মানেত কিনা।

 এবার আসুন জেনে নেই মধুর উপকারীতা,কেন এটাকে সকল রোগের ঔষধ বলা হয়?
🔘মধু স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
🔘মধু হজমে সহায়তা করে এবং ক্ষুধা বাড়ায়।
🔘সর্দি,  কাঁশিতে খুবই কার্যকর। 
🔘পুরনো আমাশয়, পেটের পীড়া সহ নানা রোগের উপশম করে।
🔘ত্বকের যত্নে মধু খুব কার্যকরী।
🔘হৃদরোগ এ  মধুর ব্যাপক কার্যক্ষমতা রয়েছে।
🔘রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
🔘মধু নিয়মিত খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা ঠিক থাকে এবং রক্ত স্বল্পতায় খুব দ্রুত কাজ করে ।
🔘আলসার ও গ্যাস্ট্রিক এর জন্য উপকারি।।
🔘বাতের ব্যাথা সারাতেও বেশ কাজ করে
🔘শরীরের দূর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে৷
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা জানি তাই বললাম এগুলো ছাড়াও শত রোগের ঔষধ হিসেবে মধু অতুলনীয়। 
মধুতে অনেক উপকরণ এর মধ্যে প্রধান হলো সুগার। আমরা কিন্তু সুগার সব সময় এড়িয়ে চললে ও মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রক্টোজ দুটি সরাসরি মেটাবোলাইজড হয়ে যায় যা ফ্যাট হিসেবে জমা হয়না।
মধুতে অনেক ধরনের ভিটামিন, আয়রন, প্রোটিন , হরমোন, এসিটাইল কোলিন, বোরন, ক্রমিয়াম, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড সহ আছে অনেক অনেক ধরনের উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য যেমন পুষ্টিকর তেমনি শক্তিবর্ধক এবং বিভিন্ন রোগের উপশমে উপকারি।

হাসান সরকার ছালেহীন। 
অকৃত্রিমঃ সকল প্রকার অর্গানিক পন্যের নির্ভরযোগ্য অনলাইন সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান।  

https://www.facebook.com/Hasansalehinbd

https://www.facebook.com/AuKrittim