অনলাইন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণার নাম মুসাফির জসীম

প্রকৃতির রাণী খাগড়াছড়ি জেলার সন্তান আমি মুসাফির জসীম নাম আমার বাবা একজন কৃষক নাম আব্দুর রশিদ আমার বয়স 23 পরিবারের 2য় সন্তান, আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ।

জন্মস্থান, জেলা খাগড়াছড়ি দিঘীনালা উপজেলার 1নং মেরুং ইউনিয়ন 4 নং ওয়ার্ডে বাঁচা মেরুং এলাকায় ।

আমার জন্ম পড়াশুনা, 7ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে আর পড়াশোনা শেষ করতে পারিনি বর্তমান অবস্থান: এখন পড়াশোনা অফ, চলাফেরা ও কষ্ট আমার ব্যবসার শুরু টা এতোটা কঠিন ও ছিল না অনেক টা সহজেই ছিল। আমি তো অসুস্থতার জন্য সারাদিন বসে ই থাকতাম তাই এক আপুর অনুপ্রেরণায় ব্যবসাটা শুরু করছিলাম সেই থেকেই শুরু।

আমি সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে কিছু করার প্রচেষ্টা থেকে ই শুরু করছিলাম শাড়ি, খাদি পাঞ্জাবি, থ্রি পিস, উলের শাল, খাঁটি ঘি,ড্রাই ফ্রুটস, লোগো ডিজাইন নিয়ে মূলত আমার কাজ দেশীয় পণ্য র প্রতি বুকে ভালোবাসা ধারন করে এগিয়ে যেতে চাই আমার কাজ নিয়ে। যখন আমি ঘরে বসে বসে হাঁফিয়ে উঠি, কিছু করতাম না খুব ই খারাপ লাগতো, নিজের খরচের জন্য ও বাবার কাছে হাত পাততে হতো ।

১৮ ই অক্টোবর ২০২০ যখন এক ভাই women and e-commerce forum (we) জয়েন করে দেয় তখন উইতে জয়েন হয়ে দেখি দেশীয় পণ্য র জয়জয়কার ধ্বনি। দেশের টাকা দেশে ই রাখছে দেশীয় পণ্য র উদ্দোক্তারা দেশীয় পণ্য র ভালোবাসা থেকেই আমি দেশীয় পোশাক নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই আমার ব্যবসার শুরুটা অনলাইন ছিল কেন্দ্রিক ই আগামী তে অফলাইনে ও বড় করার চিন্তা আছে ইনশাআল্লাহ কাজ করতে গিয়ে আমি কখনো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি বরং সবার থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি সবাই আমাকে সাহস যুগিয়েছে।

আমি প্রতিবন্ধকতা জয় করে কিছু করার চেষ্টা করছি দেখে সবাই আমাকে নিজেদের অনুপ্রেরণা ভাবে নতুন উদ্যোক্তা যারা এই পেশায় আসতে চায় একজন উদ্দোক্তা হতে চায় তাদের প্রতি আমার এই পরামর্শই থাকবে যদি আপনি কিছু করতে চান তাহলে মন থেকে নিজের ভালোলাগা ভালোবাসা থেকে কাজ করবেন। আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান সেই পন্যে আগে পড়াশোনা করবেন পণ্য সম্পর্কে নিজে জানুন এবং অন্যকে জানানোর চেষ্টা করবেন

এরজন্য পড়াশোনা র বিকল্প নাই। আর এই আত্মবিশ্বাস রাখবেন এই কাজে আমি সফলতা অর্জন করব ই উদ্যোক্তা জীবনে সফল হতে মা বাবার দোয়া কিছু মানুষের অনুপ্রেরণায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল, যারা আমাকে নিজেদের অনুপ্রেরণা মনে করে ব্যবসায় টাই আমার রুটিরুজি তাই ব্যবসা নিয়ে আমার ভবিষ্যৎ ভাবনা পরিকল্পনা অনেক বড়।

আমার একটা পরিকল্পনা অনলাইন থেকে অফলাইনে আমার ব্যবসাটাকে নিতে চাই একটা শোরুম করতে চাই ভবিষ্যতে । উদ্যোক্তা জীবনের শুরু আমার এক বছর হতে চলল এই এক বছরে আমি প্রায়ই ৯০/১০০ টা কাস্টমার পেয়েছি, রিভিউ পেয়েছি ২০টার মতন। মোট বিক্রি প্রায় ১০০০০০ নামঃ Musafir Jasim উদ্যোগের নামঃ Musafir shop মোবাইল নাম্বারঃ 01886296868 ইমেইল এড্রেসঃ ju701434@gmail.com

ফেসবুক আইডি লিংকঃ

https://www.facebook.com/profile.php?id=100014151585047

পেইজের লিংকঃ

https://www.facebook.com/Musafir-shop-103353504933595

আওয়ার টাঙ্গাইল ডটকম
ফাউন্ডার হাসান সরকার ছালেহীন

https://www.facebook.com/Hasansalehinbd

টাঙ্গাইলের অসাধারন হ্যান্ডপেইন্ট উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান

আমার নাম নুসরাত জাহান। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আমি পরিবারের ২য় সন্তান। আমার একজন বড় বোন ও একজন ছোট বোন আছে। আমার বাবা সেনাসদস্য (অবসবরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট) ছিলেন। তিনি মারা গেছেন ২বছর আগে। আমার মা গৃহিনী। আমার জন্ম টাংগাইল জেলায় এবং জন্মের পর থেকেই আমি টাংগাইলেই বড় হয়েছি।

আমার ব্যবসার শুরুটা কি সহজ ছিল? হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ সহজই ছিল শুরুর দিকটা। আমার ক্ষেত্রে এমন হয়নি যে টাকার অভাবে, বা কোনো প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবসা করছি বা বাধ্য হয়েছি ব্যবসা করতে হচ্ছে,পরিবারের অভাব আছে তাই করতে হবে এমন কোনো বিষয় না, আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু আমি চাইতাম নিজে থেকে কিছু করতে যাতে নিজের চাহিদা টুকু নিজে কিছু হলেও পূরণ করতে পারি৷ চাহিদার সব কিছুর জন্যই মা-বাবার উপর নির্ভর থাকতে না হয়।

আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি আমার বেশিরভাগ চাহিদা নিজেই পূরণ করতে পারি।আমি ব্যবসা শুরু করেছি মূলত নিজের সময় কাটানোর জন্য এবং নিযেকে ব্যস্ত রাখার জন্য। করোনার কারণে যখন হঠাতই স্কুল কলেজ বন্ধ, ধরতে গেলে সারা বাংলাদেশই বন্ধ তখন ঘরে বসে বসে যেন সময় কাটছিল না। তাই চাচ্ছিলাম যেহেতু এখন পড়াশোনাও বেশি নেই, তাই পড়াশোনার পাশাপাশি সময়টাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। সেক্ষেত্রে যেহেতু সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত আছি, সবাইকে দেখছি অনলাইনের মাধ্যমেও কিছু না কিছু করা যায় তখন আমি ভাবলাম আমিও কিছু একটা শুরু করি। এইক্ষেত্রে হ্যান্ড পেইন্ট কাজটা আমার খুবই ভালো লাগত, আর আকাঁআঁকি আমিও পছন্দ করি তাই হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ করার উদ্যোগ নিলাম।

এইক্ষেত্রে আমি রং তৈরি করার প্রাথমিক নিয়মগুলো আগে থেকেই জানতাম আর বাকি যেসব জিনিস প্রয়োজন সেগুলো ইউটিউব দেখে শিখে কাজ শুরু করেছি৷ আর আমার এই কাজের প্রথম মূলধন ছিল ৬০০০ টাকা। যা আমার ছোটবোনের ব্যাংকে জমানো টাকা ছিল। আমি হ্যান্ড পেইন্ট এর শাড়ি, পাঞ্জাবি, কাপল সেট, ফ্যামিলি সেট, থ্রিপিস এইসব নিয়ে কাজ করি।

আমি যখন ভেবেছিলাম যে কিছু একটা করি, তখনই ঠিক করেছিলাম এমন একটা জিনিস দিয়ে শুরু করব যাতে আমার প্রতিভা টুকু সবার মাঝে প্রকাশ পায়। রেডিমেইড জিনিস নিয়ে তো মানুষ কাজ করেই, যা নিজে তৈরি করে না। তাই আমি নিজের প্রতিভা প্রকাশের জন্য এই কাজটি বেছে নিয়েছি৷ সবার থেকে ভিন্ন কিছু নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। এখন অনেকে হয়তো হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ করে,অনেকের কাজ আমার কাজের চেয়ে অনেক ভালো, তারা পারদর্শী,দক্ষ কিন্তু আমি যতটুক পারি তার সর্বোচ্চ দিতে চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমার এই কাজ নিয়েই অনেকের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছি। অনেকের মাঝে বিলিয়ে দিতে পেরেছি এবং অনেকে আমার কাজকে অনেক পছন্দও করে। আমার ব্যাবসার শুরুটা অনলাইনেই শুরু।

এর পর ধীরে ধীরে অফলাইনেও মানে আমার প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয় স্বজন রাও আমার করা জিনিসের প্রতি আগ্রহী হয়ে তারা আমার ক্রেতা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি গত ৯-১০ মাস যাবত কাজ করছি।কাজ করতে গিয়ে কখনো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি বললেই চলে আলহামদুলিল্লাহ। অর্ডার ক্যান্সেল,পণ্য ফেরত, দোষ ত্রুটি,পেমেন্ট এসব পরিস্থিতির মুখোমুখি এখন পর্যন্ত হইনি। নতুন উদ্যোক্তারা এই পেশায় আসতে চাইলে, তাদের জন্য আমার পরামর্শ কি থাকবে-অবশ্যই তারা এই পেশায় আসতে পারে, ঘরে বসেই নিজের সুপ্ত প্রতিভা অন্যের মাঝে প্রকাশ করার আনন্দই আলাদা। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটাইবেশি সুবিধা মনে করে৷ আর তারা চায় ইউনিক কিছু যা সবার নজর কাড়ে এমন জিনিস।

তাই যারা নতুন এই পেশা নিতে চান তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন সবার থেকে ইউনিক কিছু চেষ্টা করার যাতে সবার নজর কাড়ে এবং তাতে আপনার সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশ পায়। ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারলেই সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। অনেকে ধৈর্য হারা হয়ে যায় যে সবাই তো বললো অনেক বেচাকেনা হয় এখন তো হচ্ছে না তাহলে বাদ দিয়ে দেই বা অন্য কিছু নিয়ে চেষ্টা করি তখন তারা একাধিক পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করে তারপর আর কোনোটায় সামলে উঠতে পারে না। তাই প্রথমেই লাভের আশা না করে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে, পরিচিতি বাড়াতে হবে এবং নিজের কাজের কোয়ালিটি প্রতিনিয়ত সুন্দর করার চেষ্টা করতে হবে যাতে সবার নজর আকর্ষন করে। উদ্যোক্তা জিবনে সফল হতে যাদের ভূমিকা বেশি ছিল- আমার উদ্যোক্তা জীবনে আমার মা, বোন পরিবারের সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা আমাকে জোড় করেছে কিছু একটা করার জন্য তা না।

আমি যখন চিন্তা করলাম এইধরনের কিছু আমি শুরু করতে চাচ্ছি তখন তারা আমাকে বাধা দেয়নি, কাজে সাহায্য সহযোগিতা করেছে৷আমার বড় আপু এখন আমার অনেক কাজ করে দিয়েছে, অনলাইনে প্রচারের ক্ষেত্রে, অনেকের মাঝে জানানোর ক্ষেত্রে সে আমাকে সাহায্য করেছে।। এখন এই ব্যবসা আমি আর আমার আপু ২জন মিলেই করি। এছাড়াও আমার মা, ছোট বোন কখনো এর বিপক্ষে ছিল না,পড়াশোনার পাশাপাশি যদি আমি নিজে কিছু একটা করি তাতে তারা বাধা দেয় নি তারা আমার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট আলহামদুলিল্লাহ । বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনার ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও দূর আগাতে চাই আমার পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা চালিয়ে যেতে চাই৷ একজন সফল উদ্যোক্তা, একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চাই।

আমি বিশ্বাস করি প্রবল ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য আর সততার সাথে কোনো কাজ করলে সেই কাজে সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। আমার উদ্যোগের সফলতা-আলহামদুলিল্লাহ গত ৯-১০ মাস যাবত আমি এই উদ্যোগ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে ভালো সাড়া পেয়েছি। এখন পর্যন্ত আমি দেশের ৭-৮ টি জেলায় আমার পণ্য পাঠিয়েছি। এমনি কোনো কোনো জেলায় একাধিক বার, ৪-৫ বারও আমার পণ্য পাঠিয়েছি। আর যেহেতু আমার হোম ডিস্ট্রিক্ট টাংগাইল তাই টাংগাইলের বিভিন্ন জায়গায় আমার পণ্য দিয়েছি। আমার বেশ কিছু রিপিট কাস্টমার আছে যারা একাধিক বার আমার কাছ থেকে পণ্য নিয়েছেন এবং তারা আমার পণ্য নিয়ে সন্তুষ্ট আলহামদুলিল্লাহ। আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু ৯-১০ মাস। আর যেখানে আমি ৬০০০টাকা নিয়ে শুরু করেছিলাম সেখানে আজ আমি ৭৫-৮০ হাজার টাকায় পৌছেছি। সবার দোয়া এং ভালোবাসায় খুব দ্রুতই লাখপতিদের খাতায় লাম লিখাবো ইনশাআল্লাহ ।

পেইজ লিংকঃ

https://www.facebook.com/nusratnusu29

ফেইসবুক আইডি লিংকঃ

https://www.facebook.com/profile.php?id=100042841132808

হাসান সরকার ছালেহীন

ফাউন্ডার আওয়ার টাঙ্গাইলডটকম

আচার নিয়ে সফল উদ্যোক্তা টাংগাইল কন্যা শামীমা সুলতানা

আমি শামীমা সুলতানা। পড়াশোনা করছি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে এবং বিবাহিত এক বাচ্চার মা।পড়াশোনা,সংসার,বাচ্চা সামলে এখন একজন উদ্যেক্তাও আলহামদুলিল্লাহ। আমার শুরুটা ছিলো গতবছর করোনাকালীন সময়ে! পৃথিবী যখন থমথমে অবস্থা তখন উইয়ের হাত ধরেই যাত্রা শুরু হয়েছিলো আনকোরার! টাংগাইলের মেয়ে হওয়া সত্বেও কাজ করার জন্য শাড়িকে বেছে না নিয়ে খুজে নিয়েছিলাম আমার ভালোবাসা ভালোলাগার কাজ রান্নাতে! ৩০০টাকা আর নিজের স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আনকোরার কাজ শুরু হয়েছিলো হোমমেড আচার আমসত্ত্ব!

আচারের মতন জিনিস যা ২০০টাকা থেকেও শুরু হয় সেটা নিয়েই এখন পর্যন্ত আমার সেল ১লাখ ৩৬হাজার+ ধৈর্য পরিশ্রম আর সততা থাকলে যে কোন কাজেই সফল হওয়া যায়! শুরুতে অনেক বাধা বিপত্তি থাকলেও সময়ের সাথে তা অনেক সাপোর্টে পরিনত হয়েছে আমার জন্য আলহামদুলিল্লাহ! নিজেকে প্রমান করার জন্য তো অবশ্যই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালাতে হবে!বাধা বিপত্তি ছিলো আছে আর থাকবেই তারপরও কাজ করতেই হবে।

আমি আমার ছোট মেয়ে নিয়ে বাজার,কুরিয়ার,ডেলিভারি সব একা হাতেই সামলাই এখন পর্যন্ত। বাচ্চা আমাদের বোঝা না,বাচ্চাই আমাদের শক্তি! আনকোরাকে একদিন অনেক বড় ব্র‍্যান্ডে পরিনত করবো ইনশাআল্লাহ। আনকোরাকে পুজি করেই আরো মানুষের কর্মসংস্থান করবো একদিন ইনশাআল্লাহ। সেই লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি! শামীমা,টাংগাইল কন্যা। সত্বাধিকারী-আনকোরা

পার্সোনাল ফেইসবুক আইডি: https://www.facebook.com/shamima.sultana.3110

ফেইসবুক পেইজ- https://www.facebook.com/shamimaSultana111

হাসান সরকার ছালেহীন Ourtangail.com

হ্যান্ডপেইন্ট এ সফল উদ্যোক্তা টাঙ্গাইলের ফেরদৌসী ইসলাম সিথী

আমি ফেরদৌসী ইসলাম সিথী।টাংগাইলের মেয়ে।এই তো সেদিনের কথা অনার্স পাস করে করোনার কবলে পরে ঘরে বসে ছিলাম।ছোট বেলা থেকে এক্টাই সপ্ন ছিলো কিছু করতেই হবে। আমি জব অথবা অন্য যে কোনো কিছু। বিবিএ করার কারনে বিজনেসের প্রতিও ছিল কিছুটা ঝোক।সে কারনেই হয়তো আজ আমি উদ্যেগক্তা। ঠিক এক বছর আগে হতাশা আমাকে ঘিরে ধরেছিল।

ঠিক তখনি আমি পেয়ে যাই আমার প্রানের গ্রুপ উই কে। ছোটোবেলা থেকে যেহেতু আকাআকি টা বেশ ভাল পারতাম তাই এটা কে নিয়েই এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।সেই শুরু থেকেই আমার কাজ সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলো। আমার হ্যান্ডপেইন্ট প্রডাক্ট গুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে গেছে সাথে দেশের বাহিরেও পাঠিয়েছি কয়েকবার আলহামদুলিল্লাহ। টাংগাইল কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমার হ্যান্ডপেইন্ট পন্যের মাধ্যমে। আলহামদুলিল্লাহ গত ১ বছরে আমি শুধুমাত্র হ্যান্ডপেইন্টের পন্য সেল করে আয় করেছি ৩ লক্ষ এর বেশি।

কাজগুলো যেহেতু খুব নিখুত ভাবে করতে হয় তাই এই টুকু আসতে আমার অনেক কস্ট হয়েছে তবুও আমি সব সময় আলহামদুলিল্লাহ বলি কারন আমার পরিবার অনেক খুশি।আমার পরিবার থেকে আমি সব সময় সাপোর্ট পেয়েছি এটা আমার সৌভাগ্য বলা চলে। কাজের শুরুতে ইচ্ছে ছিল আমার মনের রঙ তুলি দিয়ে সবাইকে রঙিন করবো আর সেই ভাবনা থেকে আমার উদ্যেগের নাম দেওয়া হয়”ইচ্ছে রঙিন ” ইচ্ছে রঙিন কে এখন দশ জনে চিনে এটাই আমার সার্থকতা। ইনশাআল্লাহ ইচ্ছে রঙিন কে একদিন দেশ-বিদেশের সবাই চিনবে সেই কামনায় এগিয়ে যাচ্ছি।

পার্সোনাল ফেইসবুক আইডি

https://www.facebook.com/profile.php?id=100008776508936

ফেইসবুক পেইজ

https://www.facebook.com/%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%99%E0%A6%BF%E0%A6%A8-108839877479266

হাসান সরকার ছালেহীন Ourtangail.com

টাংগাইলের পাটরাণী তানজিন তালুকদার তনু

যিনি পাটের শাড়ি নিয়ে কাজ করে কিছুদিন আগেই লাখপতি হয়েছেন চলুন আজ শুনব তার কথা,উনার সেল আপডেট ১৪৬৫৬০/-।

আমি তানজিন তালুকদার তনু অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি সাদত কলেজ, করটিয়া,টাংগাইল। টাংগাইল এর মেয়ে হিসেবে টাংগাইলের তাঁতের শাড়ির প্রতি ভালোবাসা শাড়ি পড়া বুঝতে শুরু করেছি পর থেকেই।তবে খুব খারাপ লাগতো যখন দেখতাম মানুষ এতো সুন্দর সুন্দর দেশি শাড়ি বা পোশাক রেখে বিদেশি পণ্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। দেশি পণ্যকে ছোট করে দেখে বিদেশি পণ্য নিয়ে মাতামাতি মনটাকে ভীষণ ভাবে ব্যথিত করতো। তখন থেকেই চিন্তা নিজের এলাকার তাঁত শিল্প নিয়ে কিছু করার।

স্বপ্নটা আরো ৫/৬বছর আগের হলেও শুরু করার সাহস পেয়েছি গতবছর মানে ২০২০ সালের ১০ই জুলাই লকডাউনের সময় উইয়ের কল্যাণে। উই আর ডিএসবি থেকেই উদ্যোক্তা হবার বেসিক গুলো কিছু কিছু শিখে শুরু করি আমার উদ্যোক্তা জীবন। কাজের সাথে সাথে আরো শিখছি জানছি।তবে এর সম্পূর্ণ কৃতিত্বই Razib Ahmed স্যার এর। আমি মূলত টাংগাইল তাঁতের শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করলেও আমার উদ্যোগ শুরুর তিন মাসের মাথায় আমি আমাদের টাংগাইল তাঁতের পাটের শাড়ির সন্ধান পাই।ছোট বেলায় পড়া কবি আহসান হাবীবের “ইচ্ছে” কবিতার সেই পাটের শাড়ি যে কখনো দেখতে পাবো তা কল্পনাতেই ছিলোনা।

আর একেই যখন নিজের জেলার তাঁতে পেয়ে গেলাম আর জানলাম যে এই পাটের শাড়ি আমাদের টাংগাইলেই বোনা হয়।তখনই মনে মনে পরিকল্পনা করলাম এটা নিয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। এক সময় টাংগাইল তাঁতের বিখ্যাত শাড়ি ছিলো এই পাটের শাড়ি আর কালের বিবর্তনে তা হারাতে বসেছে, যা নতুন প্রজন্মের কাছে একদমই অপরিচিত হয়ে গেছে। সবকিছু চিন্তা করে পাটের শাড়িকেই করলাম নিজের উদ্যোগের সিগনেচার পণ্য।এটা নিয়ে জানার চেষ্টা করলাম আর পোস্ট করার মাধ্যমে মানুষকে জানানোর চেষ্টা করতে শুরু করলাম। উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে আমার পরিবারের সাপোর্ট ছিলো না বললেই চলে।আসলে বাবা ভয় পেতেন পড়াশোনার মাঝে এমন একটা কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে আমার পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি হয়ে যেতে পারে।তবে ছোট বোনটা ছোট মানুষ হলেও বড় বোনের মতো সাহস জুগিয়েছে আর সাপোর্ট দিয়েছে শুরু থেকেই।

পড়াশোনা ঠিক রেখেই উদ্যোগটা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি দেখে বাবাও এখন বেশ খুশি😊 আর যার সাপোর্ট টা পড়াশোনার মধ্যে আমাকে উদ্যোক্তা হবার সাহস জুগিয়েছে সবচেয়ে তিনি আমার ডিপার্টমেন্টের আসমা সিদ্দিকা ম্যাম।তিনি শুধু আমার ম্যাম নয় আমার মামণি।মামণিই বলেছিলেন “পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করাটা খারাপ নয় বরং তুমি যে কাজ টা করতে যাচ্ছো তা যেমন তোমাকে নিজের পরিচয় তৈরি করতে সাহায্য করবে তেমনি এই জেলার তাঁত শিল্পও আরো কিছুটা এগিয়ে যাবে তোমার কাজের মাধ্যমে।” মামণির এই সাপোর্টটাই ছিলো আমার ঐ সময় সবচেয়ে বড় সাহস।এবং কার্যত মামণিই ছিলেন পিউনির প্রথম ক্রেতা।

সর্বোপরি যাদের ছাড়া আসলে উদ্যোগ টা বাস্তবে রূপই পেতো না তারা আমার দুইজন সহপাঠী, আমার বেস্ট ফেন্ড রাবেয়া আক্তার(Mounota Momo) এবং লিখন মাহমুদ। যেহেতু কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে আমার একার পক্ষে এই উদ্যোগ টা চালানো সম্ভব ছিলো না, ওরাই আমার চিন্তাগুলোকে সাদরে গ্রহণ করে আমার সহযোগী হয়ে পাশে দাঁড়ালো। হ্যাঁ আমরা তিন বন্ধু মিলেই উদ্যোগ টা শুরু করলাম। আমি অনলাইনটা সামলালেও অফলাইনে ওদের ভূমিকাই বেশি। মূলত ফোকাস করছি এখন আমাদের হারাতে বসা ঐতিহ্য পাটের শাড়ি সম্পর্কে মানুষকে জানানো।পাটের শাড়িকে আবার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। সেই সাথে নতুন প্রজন্মকে পাট বস্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট করতে পাট বস্ত্রের নতুন নতুন ফিউশন নিয়ে আসা। বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাট পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।আমরা চেষ্টা করবো দেশের বাইরেও আমাদের দেশের এই ঐতিহ্যকে(পাট বস্ত্র)পৌঁছে দিতে। ইনশাআল্লাহ পিউনির মাধ্যমে পাটের শাড়িকে আবার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে পারবো বলে আশা রাখি।

তানজিন তালুকদার তনু

https://www.facebook.com/profile.php?id=100008653927952

স্বত্বাধিকারীঃপিউনিPeony

https://www.facebook.com/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BFPeony-104052464772222

আজকের টাংগাইলের মিষ্টি আপু

টাংগাইলে জন্ম, টাংগাইলেই বড় হওয়া বেড়ে ওঠা। বাবা সরকারী চাকুরিজীবী ছিলেন। বাবা মায়ের এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে আমিই ছোট। খুবই দূরন্ত ছিলাম ছোট বেলায়। টাংগাইলের নাম করা স্কুল বিন্দুবাসিনী ও কুমুদিনী কলেজ এ লেখাপড়া। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি সব বিষয়েই ভীষণ দক্ষতা ছিল আমার। এস. এস. সি র পর বাবার বাইপাস সার্জারি সব এলোমেলো করে দেয়। বাবার ভিতর ভয় ঢুকে যায় তার কিছু হলে আমার কি হবে! সেই থেকেই বিয়ের তোরজোর ! অবশেষে ২০০৭ এ এইচ. এস. সি. রেজাল্টের পরই বিয়ে। বর ও শ্বশুর বাড়ীর লোক অনেক বেশী সাপোর্টিভ ছিলেন। লেখাপড়ায় তাদের কোনো সমস্যা ছিল না। ন্যাশনাল ভার্সিটির আন্ডারে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে অর্জন করলাম ৩য় স্থান৷ ভর্তি হলাম পছন্দের বিষয় ইংরেজি সাহিত্যে । কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ! আমার বড় সন্তান আমার ছেলে হওয়ার পর আমার ফাইনালের সময় ছেলের নিউমোনিয়া! রেখে পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখি মরনাপন্ন অবস্থা ! বাদ দিলাম পরীক্ষা ! আর হলো না আমার লেখাপড়া!!! সবই ভালই চলছিলো আলহামদুলিল্লাহ । কোনো অভাব অনটন নেই। আবারো শুরু করলাম প্রাইভেট এ ডিগ্রী কিন্তু এবার ২য় সন্তানের মা হতে যেয়ে আর হলো না! আবারো বাদ!!! এবার একবারেই বাদ। কিন্তু নিজের একটা পরিচয় যে আমার নেই! সব আছে আলহামদুলিল্লাহ ! কিন্তু নিজের বলার মতো একটা পরিচয় নেই! আমার বাবা – মা আমাকে নিয়ে গর্ব করে কিছু বলতে পারেন না! স্কুলে আমার চেয়েও খারাপ ছাত্রীরা কিছু না কিছু কেন বেশ ভাল পজিশনে জব করে! কিন্তু আমি!!! ২০১৮ সালের ১৩ই মে। নিজের একটা পরিচয় গড়তে আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু। টাংগাইলের মেয়ে টাংগাইলের তাঁত পণ্যকে ভীষণ ভালবাসি বলেই টাংগাইল তাঁত পণ্যকে বেছে নেওয়া । মেয়ের নামে নিজের উদ্যোগের নাম দেওয়া ” আরওয়া “। ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ উই কে খুজে পাওয়া। ২০২০ এ ফেব্রুয়ারী থেকে সুপার এক্টিভ মানে একটা দিনের জন্যও হারাই নি। ৫৫ টার মধ্যে ৪৫ টা অনলাইন আড্ডা করেছি। শ্রদ্ধেয় Razib Ahmed স্যারের দেওয়া নামে উই এর সবাই আমাকে টাংগাইলের মিষ্টি আপু বলে চিনেন। নাসিমা আক্তার নিশা আপুর দেওয়া দায়িত্ব ডিসট্রিক্ট হেড টাংগাইল । এখন একজন মডারেটর ও বটে। উই তে ২০২০ মার্চের ৮ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারী ২৮ ২০২১ পর্যন্ত সেল ১০ লাখ ৫৫ হাজার ১৫০ টাকা। তাও সেলের জন্য মরিয়া না হয়ে। যখন কোনো নিউজে ছাপা হয় আমার নাম আর আব্বু খুব গর্ব করে বলেন ” আমার মেয়ের কথা নিউজে আসছে, দেখো তোমরা! ” কি যে শান্তি লাগে বলে বোঝাতে পারবো না। এখন টাংগাইল এর উদ্যোক্তা নিয়ে অনেক কাজ করা বাকি, ইনশাআল্লাহ অনেক দূর এগিয়ে যাবো সবাইকে নিয়ে। টাংগাইলের নাম ই-কমার্সে সবার আগে আসবে ইনশাআল্লাহ। এতো গুলো কথা বলার কারণ, ” আমরা নারী, আমরাই পারি! ” সবাই নিজ নিজ জায়গায় নিজেদের সেরা প্রমাণিত করুন। নিজেদের পরিবারের জন্য গর্বের কারণ হন। আপনার পরিচয় আপনার নিজের কাজ দিয়েই তৈরী করতে হবে। আপনার জন্য কেউ জায়গা তৈরী করে দিবে না, নিজের যোগ্যতায় তৈরী করতে হবে। নহরে জান্নাত মিষ্টি ডিসট্রিক্ট হেড টাংগাইল স্বত্বাধিকারী : Arwaa – আরওয়া

ফেইসবুক আইডি

https://www.facebook.com/naharay.misty

ফেইসবুক পেইজ

https://www.facebook.com/arwaacollection

কুশিমনা-Kushimona

আমরা বিভিন্ন রকম বাচ্চাদের কুশির জামা,জামার গলা,বাচাদের কুশির টুপি ও কুশির প্রায় সব ধরনের পণ্যের অর্ডার এবং রেডিমেট বিক্রয় করে থাকি,

টাঙ্গাইলের সব ধরনের জামদানি ও তাঁতের শাড়ি খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করা হয়!

আমাদের ফেইসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন,

https://www.facebook.com/kushimona123

পার্সোনাল ফেইসবুক আইডি

https://www.facebook.com/afrin.shilpy.37

অর্ডার বা বিস্তারিত জানতে ইনবক্স অথবা কল করুণ 01639754127

ঘূর্ণন-Ghurnon

A store full of Tasty & Delicious foods,Fancy & Stylish items which will give you more fashionable & unique look.Product Item:Homemade foods,Dress & Ornaments

আমরা বিভিন্ন রকম হাতের কাজের জামা,বাচ্চাদের কুশির জুতা, জামা,হেয়ার ব্যান্ড ,

হাতের বানানো বিভিন্ন রকম গহনার অর্ডার এবং রেডি মেট বিক্রয় করে থাকি ,

আমাদের ফেইসবুক পেজ লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন,

https://www.facebook.com/Ghurnon1/

পার্সোনাল ফেইসবুক আইডি

https://www.facebook.com/fatema.mitaly.5

অর্ডার বা বিস্তারিত জানতে ইনবক্স অথবা কল করুণ 01966999457

স্বপ্ন বুনন

আমরা বিভিন্ন রকম নকশি কাথা,বাচ্চাদের কুশির জামা,জামার গলা,কুশির টিস্যু বক্স কভার,কোরান শরিফ এর কভার,হাতে কাজ করা থ্রি পিছ ইত্যাদির অর্ডার ও রেডিমেট বিক্রয় করে থাকি,আমাদের ফেইসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন,

https://www.facebook.com/Swapnobunon247

অর্ডার করতে ইনবক্স অথবা কল করুণ 01674868686 ধন্যবাদ সবাইকে !