কালিহাতি উপজেলাঃ

কালিহাতি উপজেলাঃবাংলাদেশের টাংগাইল জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।যেটি টাংগাইল সদর থেকে খুব কাছেই অবস্থিত। এই উপজেলা পোড়াবাড়ির চমচম ও তাতের শাড়ির জন্য বিখ্যাত।অবস্থানঃ৩০১.২২ বর্গ কিঃমিঃ আয়তন বিশিষ্ট কালিহাতি উপজেলা টাংগাইল জেলা সদর থেকে ২২কিঃমিঃ উত্তর-পূর্বে এবং বাংলাদেশের রাজধানি ঢাকা থেকে ১০২ কিঃ মিঃ উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। কালিহাতি উপজেলার উত্তরে ভুঞাপুর ও ঘাটাইল উপজেলা,দক্ষিনে টাংগাইল সদর ও বাসাইল উপজেলা,পূর্বে সখীপুর উপজেলা ও পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ সদর ও বেলকুচি উপজেলা।

দুইটি পৌরসভাঃ কালিহাতি পৌরসভা ও এলেঙ্গা পৌরসভা।

কালিহাতি উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন

১)কোকডহরা২)গোহালিয়াবাড়ী৩)দশকিয়া৪)দূর্গাপুর৫)নাগবাড়ি৬)নারান্দিয়া৭)পাইকড়া৮)পারখি৯)বল্লা১০)বাংড়া১১)বিরবাসীন্দা১২)সল্লা১৩)সহদেবপুর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ

কালিহাতির শিক্ষার হার ৩৭.৬%।এই উপজেলায় ৮ টি কলেজ,৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩ টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৯ টি মাদ্রাসা রয়েছে।কালিহাতি উপজেলায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় ও নেই।বিখ্যাত ব্যাক্তিঃ★মির্জা মাজহারুল ইসলাম (ভাষা সৈনিক)★কানাইনাল।নিয়োগী (ভাষা শহীদ)★বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী★বঙ্গবির আব্দুল কাদের সিদ্দিকি★ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ কামরুল হাসান।★বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য ★শাজাহান সিরাজ( সাবেক মন্ত্রি)★আব্দুল লতিফ সিদ্দিকি।★শহীদ শফি সিদ্দিকি★নায়ক মান্না সহ প্রমুখ।

দর্শনীয় স্থানঃ★যমুনা বহুমুখি সেতু★যমুনা রিসোর্ট★এলেঙ্গা রিসোর্ট ★বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস★পুরোনো জমিদার বাড়ি★কালিহাতি পার্ক।

নদনদীঃ

🎯যমুনা🎯বংশাই🎯সাপাই🎯ঝিনাই🎯ফটিকজানি🎯লাঙ্গুলিয়া

হাসান সরকার ছালেহীন❤️

আউয়ার টাংগাইল ডট কম।

টাঙ্গাইল জেলা পরিচিতি

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত যা ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর জনসংখ্যা প্রায় ৩৮ লক্ষ এবং আয়তন ৩৪১৪.৩৫ বর্গ কিলোমিটার। টাঙ্গাইল আয়তনের ভিত্তিতে ঢাকা বিভাগের সর্ববৃহৎ এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে ২য় সর্ববৃহৎ জেলা।

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দ অবধি টাঙ্গাইল ছিল অবিভক্ত ময়মনসিংহ জেলার একটি মহকুমা; ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে টাঙ্গাইল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এটি একটি নদী বিধৌত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এই জেলা যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এর মাঝ দিয়ে লৌহজং নদী প্রবহমান।

অবস্থান ও আয়তন

টাংগাইল জেলা ঢাকা হতে প্রায় ৯২ কি মি দূরে অবস্থিত। এই জেলার পূর্বে রয়েছে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলা, পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ জেলা, উত্তরে জামালপুর জেলা, দক্ষিণে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলা। এর আয়তন ৩৪১৪.৩৮ বর্গ কি.মি.।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

টাঙ্গাইল জেলায় মোট উপজেলার সংখ্যা ১২ টি এবং মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১১৮ টি।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১২ টি।

করটিয়াঘারিন্দাগালাপোড়াবাড়ীসিলিমপুরকাকুয়াকাতুলীমগড়ামাহামুদনগরহুগড়াদাইন্যা এবং বাঘিল

কালিহাতি উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৩ টি।

কোকডহড়াগোহালিয়াবাড়ীদশকিয়াদুর্গাপুরনাগবাড়ীনারান্দিয়াপাইকড়াপারখিবল্লাবাংড়াবীরবাসিন্দাসল্লাসহদেবপুর

ঘাটাইল উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪ টি।

দেউলাবাড়ীঘাটাইলজামুরিয়াদিগড়দিঘলকান্দিআনেহলাদেওপাড়াধলাপাড়াসন্ধানপুরলোকেরপাড়া এবং রসুলপুর,সংগ্রামপুর ইউনিয়ন,লক্ষিন্দর ইউনিয়ন,সাগরদিঘী ইউনিয়ন

বাসাইল উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৬ টি।

কাউলজানীকাঞ্চনপুরকাশিলফুলকীবাসাইল এবং হাবলা

গোপালপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৭ টি।

হাদিরানগদাশিমলাঝাওয়াইলহেমনগরআলমনগরমির্জাপুর এবং ধোপাকান্দি

মির্জাপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪ টি।

মহেড়াফতেপুরজামুর্কীবানাইলআনাইতারাভাতগ্রামওয়ার্শীবহুরিয়াগোড়াইতরফপুরআজগানাবাঁশতৈললতিফপুরভাওড়া

ভূঞাপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৬ টি।

ফলদাঅর্জুনাগাবসারাগোবিন্দাসীঅলোয়ানিকরাইল

নাগরপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১২ টি।

নাগরপুরভাররাসহবতপুরগয়হাটাবেকড়াসলিমাবাদধুবরিয়াভাদ্রাদপ্তিয়রমামুদনগরপাকুটিয়া এবং মোকনা

মধুপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৬ টি।

আলোকদিয়াআরণখোলাআউশনাড়াগোলাবাড়ীমির্জাবাড়ীশোলাকুড়ি

সখিপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৮ টি।

কাকড়াজানকালমেঘাকালিয়াগজারিয়াদাড়িয়াপুরবহেড়াতৈলযাদবপুর এবং হাতীবান্ধা

বাসাইল উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৮ টি।

আটিয়াডুবাইলফাজিলহাটিপাথরাইললাউহা্টীদেলদুয়ারদেউলী এবং এলাসিন

ধনবাড়ী উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৭ টি।

বীরতারাবানিয়াজানপাইস্কাধোপাখালীযদুনাথপুরমুশুদ্দি এবং বলিভদ্র

নামকরণ

টাঙ্গাইলের নামকরণ বিষয়ে রয়েছে বহুজনশ্রুতি ও নানা মতামত। ১৭৭৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত রেনেল তার মানচিত্রে এ সম্পূর্ণ অঞ্চলকেই আটিয়া বলে দেখিয়েছেন। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দের আগে টাঙ্গাইল নামে কোনো স্বতন্ত্র স্থানের পরিচয় পাওয়া যায় না। টাঙ্গাইল নামটি পরিচিতি লাভ করে ১৫ নভেম্বর ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমা সদর দপ্তর আটিয়া থেকে টাঙ্গাইলে স্থানান্তরের সময় থেকে। টাঙ্গাইলের ইতিহাস প্রণেতা খন্দকার আব্দুর রহিম সাহেবের মতে, ইংরেজ আমলে এদেশের লোকেরা উচু শব্দের পরিবর্তে ‘টান’শব্দই ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল বেশি। এখনো টাঙ্গাইল অঞ্চলে ‘টান’শব্দের প্রচলন আছে। এই টানের সাথে আইল শব্দটি যুক্ত হয়ে হয়েছিল টান আইল। আর সেই টান আইলটি রূপান্তরিত হয়েছে টাঙ্গাইলে।

দর্শনীয় স্থান

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অধিনায়ক, বাতেন বাহিনীর প্রধান, সাবেক সংসদসদস্য টাঙ্গাইল-৬